যদি ডেকে বলি, এসো হাত ধর - হাবিব ওয়াহিদ

যদি ডেকে বলি, এসো হাত ধর


যদি ডেকে বলি , এসো হাত ধর ,
চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে। 
এসো গান করি মেঘো মল্লারে ,
করুনাধারা দৃষ্টিতে…

আসবে না তুমি জানি আমি জানি,
অকারনে তবু কেন কাছে ডাকি।
কেন মরে যাই তৃষ্ণাতে এইই,
এসো না চলো জলে ভিজি,
শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে…

কত না প্রণয়, ভালোবাসাবাসি,
অশ্রু সজল কত হাসাহাসি।
চোখে চোখ রাখা জলছবি আঁকা,
বকুল কোন ধাগাতে…

কাছে থেকেও তুমি কত দূরে,
আমি মরে যাই তৃষ্ণাতে,
চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে…



Cholo Brishtite Viji Lyrics in Banglish

Jodi deke boli, esho haat dhoro,
Cholo bhiji aaj brishtite.
Esho gaan kori megh mollare,
Korunadhara drishtite…

Ashbe na tumi jani ami jani,
Okarone tobu keno kache daki.
Keno more jai trishnate ei,
Esho na cholo jole bhiji,
Shrabon rater brishtite…

Koto na pronoy, valobasabashi,
Oshru sojol koto hasahashi.
Chokhe chokh rakha jolochhobi anka,
Bokul kono dhagate…

Kache thekeo tumi koto dure,
Ami more jai trishnate,
Cholo bhiji aaj brishtite…

যদি ডেকে বলি, এসো হাত ধর ভিডিও



হাবিব ওয়াহিদ: সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ডিস্কোগ্রাফি

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

হাবিব ওয়াহিদ (পুরো নাম: হাবিব ওয়াহিদ) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। তাঁর জন্ম ১৯৭৯ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকায়। তিনি বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার ফেরদৌস ওয়াহিদের পুত্র। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল এবং পারিবারিক পরিবেশ তাঁকে সঙ্গীতচর্চায় উৎসাহিত করেছে। তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টার থেকে মিউজিক প্রোডাকশনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন, যা তাঁর সঙ্গীত জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া এনে দিয়েছে।

একক সঙ্গীত জীবন:

হাবিব ওয়াহিদের একক সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ২০০৩ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম "কৃষ্ণ" প্রকাশের মাধ্যমে। এই অ্যালবামের "কৃষ্ণ" এবং "ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু" গানগুলো রাতারাতি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। তাঁর সঙ্গীত ইলেকট্রনিক ফিউশন, লোকগান এবং আধুনিক পপের মিশ্রণ ঘটিয়ে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করে। এরপর তিনি একে একে প্রকাশ করেন "মায়া" (২০০৪), "সোনালী প্রহর" (২০০৬), "পান্থপথের বন্ধু" (২০০৮), "আহ্বান" (২০১১) এবং "স্বাদ" (২০১৫) এর মতো সফল অ্যালবাম। তাঁর প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।

সঙ্গীতের ধরন:

হাবিব ওয়াহিদ মূলত ফিউশন ধারার সঙ্গীত নিয়ে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশের লোকগানকে আধুনিক যন্ত্রসংগীতের সাথে মিশিয়ে এক নতুন রূপ দেন। এর পাশাপাশি পপ, আরএনবি (R&B) এবং ইলেকট্রনিক মিউজিকের প্রভাবও তাঁর গানে স্পষ্ট। তাঁর গানে আধুনিক বিট ও ঐতিহ্যবাহী সুরের এক চমৎকার মিশ্রণ দেখা যায়, যা তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি সব বয়সী শ্রোতাদের আকর্ষণ করে।

উল্লেখযোগ্য অবদান:

হাবিব ওয়াহিদ শুধু একজন সঙ্গীতশিল্পীই নন, তিনি একজন সফল সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকও। তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গান ও চলচ্চিত্রের সুর করেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে:
  • "কৃষ্ণ": বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে ফিউশন ধারার সূচনা এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
  • চলচ্চিত্র সঙ্গীত: তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে "হাওয়া", "ঢাকা অ্যাটাক", "আয়নাবাজি" অন্যতম।
  • নতুন শিল্পীদের সুযোগ: তিনি অনেক নতুন ও প্রতিভাবান শিল্পীকে সঙ্গীতের জগতে নিয়ে এসেছেন এবং তাঁদের গান সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
  • আধুনিকীকরণ: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোকগানকে আধুনিকীকরণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তা জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
হাবিব ওয়াহিদ তাঁর সঙ্গীত প্রতিভার জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অন্যতম। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url